ওয়েব ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ বর্জন করছে দাবি করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। রোববার (৭ জানুয়ারি) থেকেই দলগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোট ‘বর্জনের’ জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘রোববার ভোটাররা মূলত আওয়ামী লীগের একদলীয় সরকারকে বয়কট করেছে। দেশের মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ভোট বর্জন করে জনগণ গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলগুলোর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে এবং যে পরিমাণ ভোটের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে তা যে ভুয়া… এটা সবাই জানেন, সব মিডিয়া বলছে, সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, দেশি-বিদেশি সবাই বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক দল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করি। আমরা এটাতে (নির্বাচন) বাধা দিতে যাইনি। তারা নিজেরা বাধা দিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছে, মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে… সবই হয়েছে তারা তারা।’
এদিন দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে ও ভোটদান থেকে বিরত থাকে। সরকারের হুমকি-ধমকি অগ্রাহ্য করে জনগণের এ সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্তে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। জনগণের এ ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। জনগণ প্রহসনের এ নির্বাচন বর্জন করার মাধ্যমে মূলত কেয়ারটেকার সরকারের প্রতি তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। দেশের জনগণ নির্বাচন বর্জন করে ও ভোটদান থেকে বিরত থেকে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।